অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট কাবোরে বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক


বুরকিনা ফাসোর লামিজানা শিবিরের কাছে পাহারায় দুই সেনা সদস্য। ২৩শে জানুয়ারি ২০২২। (ছবি- এপি)
বুরকিনা ফাসোর লামিজানা শিবিরের কাছে পাহারায় দুই সেনা সদস্য। ২৩শে জানুয়ারি ২০২২। (ছবি- এপি)

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো থেকে পাওয়া এক সংবাদে জানা গেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট রোচ মার্ক ক্রিস্টিয়ান কাবোরে ও তার সরকারের সদস্যরা বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

সংবাদ সূত্রগুলো বলেছে, রাজধানী ওয়াগাদুগুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনটির আশেপাশে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

বুরকিনা ফাসো ২০১৫ সাল থেকেই, আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। দেশটির উত্তরের একটি সামরিক শিবিরে সন্ত্রাসীরা ৪৯ জন সেনা সদস্যকে হত্যার পর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটি সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট কাবোরে ডিসেম্বরে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের এবং সামরিক নেতাদের কয়েকজনকে বরখাস্ত করেন।

বর্তমান বিশৃঙ্খলাটি শুরু হয় রবিবার দিনের শুরুতে। সে সময় ওয়াগাদুগুর বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি সাংগুলে লামিজানা ক্যাম্পের ভেতর থেকে ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায়। ভিওএ সংবাদকর্মী হেনরি উইলকিন্সকে ক্যাম্পের ভেতর সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছিল। সেখানে তিনি বিদ্রোহীদের একজন সংগঠকের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সংগঠক বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়ার একটি তালিকা প্রকাশ করেন।সেই দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সহায়তার জন্য “আরও অর্থ ও আরও সেনা” দাবি করার পাশাপাশি, উন্নত প্রশিক্ষণ ও সম্মুখযুদ্ধের জন্য একটি স্থায়ী সামরিক ইউনিট গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়।

বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের পদত্যাগও দাবি করেন। এ ছাড়াও তারা সংঘর্ষে নিহত ও আহত সেনাসদস্যদের পরিবারের জন্য আরও উন্নত সেবা দাবি জানান।

বুরকিনা ফাসোর সম্ভাব্য এই সামরিক অভ্যুত্থান পশ্চিম আফ্রিকায় বিগত ১৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় ঘটনা। এর আগে মালি ও পার্শ্ববর্তী দেশ গিনিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়।

[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বার্তা সংস্থা এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া]
XS
SM
MD
LG