রুশ সেনা ইউক্রেন আক্রমণ করলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর এটি একটি।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ সংবাদদাতাদের জানান, এমন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিকভাবে বেদনাদায়ক না হলেও “ধ্বংসাত্মক” হবে।
ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার রাশিয়ান সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালালে পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞাসহ “মারাত্মক” এবং “সাংঘাতিক” পরিণাম হবে বলে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে তিনি যদি ইউক্রেন আক্রমণ করেন, তাহলে এর গুরুতর পরিণতি হবে, বড় মাপের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং সেই সাথে আমি পূর্বাঞ্চলে পোল্যাণ্ড, রোমানিয়া ইত্যাদি দেশে আমাদের উপস্থিতি, নেটোর উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য হব।” তিনি আরো বলেন, “তিনি (পুতিন) সমস্ত বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি হবে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। পুরো পৃথিবীকে এটি বদলে দেবে।”
বাইডেন বলেন যে, নেটোর মিত্ররা হুমকির সম্মুখীন হলে তাদের সাহায্য করা যুক্তরাষ্ট্রের ‘পবিত্র দায়িত্ব’। ইউক্রেন নেটোর সদস্য নয়- যদিও ইউক্রেন সদস্য হতে চায়। যাই হোক, প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া নেটোর সদস্যপদকে সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে দেখে। রাশিয়া দাবি করেছে যে ঐ নিরাপত্তা জোট যেন ইউক্রেনকে নেটোর সদস্যপদ থেকে বিরত রাখে।পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা তার নেই কিন্ত পূর্বদিকে নেটোর সম্প্রসারণকে তিনি হুমকি হিসেবে দেখছেন।
উদ্ভূত সংকট কূটনৈতিকভাবে নিরসনের জন্য গত সপ্তাহে রাশিয়া,যুক্তরাষ্ট্র, নেটো এবং অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কো অপারেশন ইন ইওরোপের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।