সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ ২৪ যুবকের পরিবারে এখন চলছে মাতম। গত চার মাসে লিবিয়ায় পাড়ি জমানো এই যুবকদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কোন যোগাযোগ নেই। প্রায় ৯ মাস আগে বিভিন্ন সময়ে তারা লিবিয়ায় পাড়ি জমান। নিখোঁজ ২৪ যুবকের সন্ধান ও মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার পূর্ব লাউজারী গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে তানহারুল ইসলাম (২৩), একই গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০), হাবীবুর রহমানের ছেলে হোসেন আহমদ (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল জুনেদ (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে আরিফ আহমদ দুলাল (২৪), খশিরবন্দ (হাতিটিলা) গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের ছেলে রাজু আহমদ (২৬),একই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে এনামুল হক (১৯), খশির কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে কামরুজ্জামান রাহাত (২২), ঘুঙ্গাদিয়া নয়াগাঁও গ্রামের হাজী শের মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (৩২), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আহমদ অজিত (২৪) গড়রবন্দ গ্রামের বারহাম আলীর ছেলে আব্দুল করিম (২৫) সহ ২৪ জন যুবক গত প্রায় ৪ মাস থেকে নিখোঁজ। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে সম্প্রতি আমিনুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক লিবিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার লাশ এখনো দেশে ফেরত আসেনি।
লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের পক্ষে বিরাজ উদ্দিন বলেন, "তাদের মন বলছে ছেলেরা এখনও জীবিত আছে। তবে তারা কোন আদমপাচারকারী চক্রের কাছে জিম্মি। নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।"
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আতিকুর রহমান বলেন, আদম পাচারকারীচক্র তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০-১২ লাখ টাকা করে আদায় করে।