উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার আরো দুটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোঁড়ে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর ফলে কোনো এক মাসে উত্তর কোরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার বক্তব্য, স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে হামবুর্গ শহর থেকে দুটি স্বল্প পাল্লার মিসাইল ছোঁড়া হয়।মিসাইল দুটি ১৯০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায় এবং ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে।এ মাসে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত সমুদ্রে ছয়বারে দশটি মিসাইল ছোঁড়ে।ক্রুজ মিসাইলসহ কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মিসাইল ছোঁড়ার রেকর্ড গড়লো উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকে চাপে ফেলা এই মিসাইল নিক্ষেপের আংশিক লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে। এই দুটি দেশ উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনায় ফেরত আসতে আহবান জানিয়েছে।
জাপান এবং কোরিয়া সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্ক ল্যামবার্ট বুধবার জানান, উত্তর কোরিয়ার সাথে “যেকোনো জায়গায়” এবং “যেকোনো বিষয়ে” কথা বলতে যুক্ত্ররাষ্ট্র প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলে, আগে সামরিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ছাড় দিতে হবে।
দেশের ভেতর কিম জং উনের পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন বাড়ানো, নতুন অস্ত্রের কার্যক্ষমতা নিশ্চিত ও প্রতিরোধ প্রদর্শন করাসহ মিসাইল পরীক্ষার কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ঐ উৎক্ষেপণের নিন্দা করে বলেছে যে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে এবং তারা প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই পরীক্ষাকে "খুবই দুঃখজনক" বলে অভিহিত করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলও অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উৎক্ষেপণগুলো হুমকিস্বরূপ।
কিছুদিন আগেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে সহায়তার অভিযোগে সে দেশের পাঁচ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা।