অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: মামলা না নেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


ড. মো. সেলিম হোসেন। (ছবি- ইউএনবি)
ড. মো. সেলিম হোসেন। (ছবি- ইউএনবি)

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেছেন তার বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা।

তবে এই বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ৪৪ জনের নামে অভিযোগ নিয়েছি, তদন্তপূর্বক মামলা রেকর্ডসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ৫৬ দিন পর গত (বুধবার) খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা করতে এসেছিলেন তার বাবা শুকুর আলী, ভগ্নিপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও মামা খন্দকার মো. আমিরুল ইসলাম। মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর নামে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগে দায়ের করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খানজাহান আলী থানায়। তবে তা এজাহার হিসেবে এন্ট্রি না করে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে পবিবারকে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। দিন শেষে মামলা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে শিক্ষক সেলিমের বাবা ও স্বজনদের।

অভিযোগের বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, "মামলা নেইনি বা নেব না এমন কোন কথা হয়নি। তাদের লিখিত অভিযোগটি রেখে দিয়েছি, সেটি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ দিয়েছেন প্রয়াত শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পুলিশ কোন রকম প্রভাবিত হয়নি বলে তিনি জানান।"

গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছে ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী গ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন হয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর আবারও তার লাশ দাফন করা হয়। এখনও পর্যন্ত সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

XS
SM
MD
LG