মানবাধিকার গোষ্ঠীর প্রতিবেদন অনুযায়ী,বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে কার্যরত কিউবান নাবিকদের কার্যত “ ‘দাসে’ পরিণত করা হয়েছে যারা তাদের মজুরির শতকরা বিশ ভাগ নিজেরা পান; বেতনের বাকি অংশ কিউবান সরকারের কাছে চলে যায়। ”
বুধবার, প্রিজনার্স ডিফেন্ডার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ক্রুজ লাইন কোম্পানি, এমএসসি ক্রুজের বিরুদ্ধে কিউবান নাবিকদের পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ করা হয়।
ক্রুজ লাইন এবং কিউবান সরকার উভয়ই কোনোপ্রকার অন্যায় আচরণের কথা অস্বীকার করেছে।
নাবিকদের মতো প্রায় একলাখ কিউবান পেশাজীবিদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, প্রকৌশলী, স্থপতি , সঙ্গীতজ্ঞ , যারা ১৯৬০-এর দশকে কিউবা দ্বারা চালু করা একটি প্রসারিত আন্তর্জাতিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিদেশে কাজ করেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্য বিশ্বে কমিউনিস্ট সরকারের প্রভাব বিস্তার করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি কিউবার সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে।
কিউবার বিরোধীদের সাথে সম্পর্কিত স্পেন ভিত্তিক একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী প্রিজনার্স ডিফেন্ডার, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা কিউবা সরকারের বিরুদ্ধে শতকরা ৮০ ভাগ মজুরি কেটে নিয়ে নিজের নাগরিকদের শোষণ করার অভিযোগ করেন।
চিকিত্সকরা দাবি করেন যে, তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বিপজ্জনক জায়গায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং যদি তারা সরকারি চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কিউবা থেকে আট বছরের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবেন।
প্রিজনার্স ডিফেন্ডার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী এই আন্তর্জাতিক মিশনগুলো কিউবার সরকারের জন্য আয়ের একটি লাভজনক উত্স। এই উত্স থেকে হাওয়ানায় প্রতি বছর ৮৫০ কোটি ডলার আসে যেখানে পর্যটন খাতের বার্ষিক আয় ২৯০ কোটি ডলার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং জাতিসংঘের কাছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি অভিযোগ করেছে যে , কিউবার আন্তর্জাতিক মিশনের অংশ যারা সেই সব পেশাজীবিদের মৌলিক অধিকার কিউবা লঙ্ঘন করেছে।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভয়েস অফ আমেরিকা অনুরোধ করলে মাদ্রিদে কিউবান দূতাবাস কোনো জবাব দেয়নি।
[এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে]