‘পার্টিগেট’ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মঙ্গলবার সংসদে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত পার্টিগুলোতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিধিনিষেধ পালনের ক্ষেত্রে ‘গুরুতর ব্যর্থতার পরিচয় মিলেছে।
সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা স্যু গ্রে পরিচালিত প্রতিবেদনটিতে ২০২০ ও ’২১ সালে যখন ব্রিটেনের বেশিরভাগ অংশ কঠোর মহামারী বিধিনিষেধের অধীনে ছিল, সে সময় ডাউনিং স্ট্রিটে হওয়া পার্টিগুলোর ওপর অনুসন্ধান চালানো হয়।
প্রতিবেদনে গ্রে বলেন, “প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া পার্টিগুলো শুধু সরকারের কেন্দ্রস্থলে কর্মরতদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত উন্নত মানই নয়, সে সময়ে ব্রিটিশ জনগণের প্রত্যাশিত মান পালন করতেও ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি পার্টিতে “অতিরিক্ত মদ্যপান” এর কথাও উল্লেখ করেছে, যেটা তার মতে “পেশাদার কর্মক্ষেত্রে কোন সময়ই যথার্থ নয়।”
গ্রে বলেন যে, কিছু পার্টি “যেভাবে হয়েছে সেভাবে হওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত ছিল না,” এবং অন্যগুলো একদম হওয়াই উচিত ছিল না।বিশেষ করে তিনি চারটি পার্টির কথা উল্লেখ করেছেন এবং অন্য বারোটির বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।
কারণ মেট্রোপলিটন পুলিশ এই বারোটি পার্টিতে আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে তদন্ত করছে।
সংসদের বক্তব্যে জনসন "যে ব্যাপারগুলো আমরা সঠিকভাবে করতে পারিনি" এবং "এই বিষয়টি যেভাবে পরিচালনা করা হয়েছে" তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন জনগণের ক্ষোভের কারণ তিনি বুঝতে পারছেন।এবং গ্রের মতামত ও “এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার ও এখনই কাজ করার সুপারিশ” -এর সাথে তিনি (জনসন) “সম্পূর্ণভাবে” একমত বলে জানান।
এর আগে জনসন বলেছিলেন যে, কোনো বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন ঘটেনি।আইন প্রণেতাদের, এমনকি তার নিজ দল থেকে আসা পদত্যাগের আহবান তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দি এসোসিয়েট প্রেস ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।