পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে দুইটি সামরিক ঘাঁটিতে রাতের জঙ্গী হামলা নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে বলে দেশটি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। হামলাগুলোতে ৭ জন সৈনিক ও ১৫ জন আক্রমণকারী নিহত হয়েছেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ একটি ভিডিও বার্তায় জানান যে, বুধবার গভীর রাতে নুশকি ও পাঞ্জগুর জেলা দুইটিতে সেনা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঐ দুই জায়গায় বুধবার রাতে হামলা হয়েছিল।
আহমেদ বলেন, “উভয় স্থান থেকেই সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা হয়েছে। এই মুহুর্তে, পাঞ্জগুরে চার বা পাঁচজনকে (হামলাকারী) নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছে এবং তাদের দ্রুতই নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হবে”।
পরবর্তীতে প্রকাশিত একটি সামরিক বিবৃতিতে এটিও নিশ্চিত করা হয় যে, সংঘর্ষে চারজন সৈনিক আহত হয়েছেন। বিবৃতিটিতে বলা হয়, “প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসীদের সাথে আফগানিস্তান ও ভারতে অবস্থিত তাদের নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যকার বার্তা আদান-প্রদান সনাক্ত করেছে।”
বেলুচ লিবারেশন আর্মি নামে পরিচিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, যুগপৎভাবে পরিচালিত এই হামলা দুইটির দায় স্বীকার করেছে। তারা দাবী করে যে, তাদের কথিত আত্মঘাতী দল পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে হানা দিয়ে গুরুতরভাবে হতাহত করতে সক্ষম হয়।
তবে পৃথকভাবে এই দাবিটির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ ধরণের ঘটনার তথ্য প্রায়ই তাদের পক্ষে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে।
প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশ, বহু বছর ধরেই বিদ্রোহী হামলার শিকার হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সহিংসতার সংখ্যা আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা দাবি করেন যে, বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীরা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত থেকে অর্থ ও সহায়তা পেয়ে থাকে। ভারতের কর্মকর্তারা এমন দাবি নাকচ করেন। ধারণা করা হয় যে বেলুচিস্তানের জঙ্গীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে, প্রতিবেশী দেশ ইরানে তাদের ঘাঁটি তৈরি করেছে।
প্রদেশটির সাথে আফগানিস্তানেরও সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেন যে, সেখানেও বেলুচিস্তানের জঙ্গীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েছে।