এসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স-এর চেয়ারম্যান কম্বোডিয়া বলেছে মিয়ানমার জান্তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী উনা মং লুইনকে এই মাসে নমপেনে এই দশটি রাষ্ট্রের জোটের শীর্ষ কূটনৈতিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র চান সানরি বুধবার ভয়েস অফ আমেরিকার খেমার বিভাগকে জানান, “ যেহেতু ৫ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নের অগ্রগতি সামান্যই, মিয়ানমার এস এ সির (স্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে আসিয়ান দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।“
চাম সানরি আরও বলেন, “ আমরা মিয়ানমারকে আসন খালি না রেখে অরাজনৈতিক পর্যায়ের কাউকে পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। “
বুধবার আসিয়ান সচিবালয় এবং নম্পেনে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসসহ অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের কাছে ভয়েস অফ আমেরিকা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো তাত্ক্ষণিক মন্তব্য করেননি।
বুধবার ভয়েস অফ আমেরিকা খেমারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, নম্পেনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল চিফ জোনাথন টার্লি কম্বোডিয়ার প্রতি “মিয়ানমার সামরিক শাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার” যুক্তরাষ্ট্রের যে আহবান,তার পুনরাবৃত্তি করেন।
ঠিক এক বছর আগে এই সপ্তাহেই মিয়ানমারের সামরিক প্রতিষ্ঠান তাতমাদওয়ের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকারের পুনর্নির্বাচনকে বাতিল করে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান । সক্রিয়বাদীরা বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী রক্তপাত ও সহিংসতায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।