পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ইমরান খান, শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং দেশ দুটির মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে দৃঢ় করার বিষয়ে চীনা নেতাদের সাথে দেখা করতে বৃহস্পতিবার চীন সফর করছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার দিনের বেইজিং সফরে খানের সঙ্গে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী থাকছেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর সঙ্গে আলোচনায় চীন-পাকিস্তান এর অর্থনৈতিক করিডোর সিপ্যাক সহ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা “ আরও শক্তিশালী” করার উপর আলোকপাত করা হবে।
চীন সিপ্যাক এর অধীনে পাকিস্তানে অবকাঠামো প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা বেইজিংয়ের গ্লোবাল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ফ্ল্যাগশিপ হিসাবে স্বীকৃত। চীনের এই উদ্যোগ পাকিস্তান এবং অন্যান্য এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুত্ কেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রকল্প তৈরি করে।
সিপ্যাক-এর লক্ষ্য চীন পরিচালিত পাকিস্তানের গভীর জলের আরব সাগর বন্দর গোয়াদরকে চীনের ভূমি-বেষ্টিত পশ্চিম জিনজিয়াং সীমান্ত অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করা।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা আশা করছেন যে বেইজিংয়ের আলোচনা পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগের গতিতে "আরো দ্রুততা" নিয়ে আসবে।
একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্য অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন বলেছেন, "চীন সফর আমাদের জন্য রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
খানের সফর এমন এক সময়ে হল যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দেশের ঐতিহাসিকভাবে টানাপোড়েন সম্পর্ক ক্রমশই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান উভয় বিশ্বশক্তির সাথে এখন একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।