জেনেভা — সহিংসতার কবল থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে উত্তর-পশ্চিম ইথিওপিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া ২০,০০০-এরও বেশি সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের নাগরিকরা এখন জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর জন্য হাহাকার করছে।
ইথিওপিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেনিশাঙ্গুল-গুমুজে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের ১০,৩০০ শরণার্থী আশ্রিত একটি শিবির গত ১৮ জানুয়ারী লুট করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শিবিরের কাছাকাছি টোঙ্গো শহরে অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সরকারী বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের পর, শিবিরটিতে হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
এর আগে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে ওই এলাকার আরেকটি শিবিরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বরিস চেশিরকভের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডিসেম্বরে প্রথম সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
চেশিরকভ বলেন, “সেই থেকে উভয় শিবিরের মোট ২২,০০০ লোককে যোগাযোগ এবং সবরকম সহায়তা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে”। এছাড়া “সব মানবিক কর্মীকে ওখান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে, দুটি শিবিরসহ পুরো এলাকায় প্রবেশ করা অসম্ভব”।
বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। এখানে দেশ দু’টির ৭০,০০০-এরও বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে। সেইসাথে, আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং সংঘাতের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত পাঁচ লাখেরও বেশি ইথিওপিয়ান সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
চেশিরকভ বলছেন , ডিসেম্বরে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে, ২০,০০০-এরও বেশি উদ্বাস্তু দীর্ঘ এবং কঠিন পথ ধরে আঞ্চলিক রাজধানী আসোসার কাছাকাছি তিনটি ভিন্ন জায়গায় জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, সবাই ক্লান্ত হয়ে এসেছেন এবং প্রত্যেকের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন।
চেশিরকভ বলেন, “জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো ২০,০০০-এরও বেশি শরণার্থীর জন্য জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে”। ইউএনএইচসিআর ইথিওপিয়ান শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন পরিষেবা এবং তাদের সহযোগীদের সাথে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের জন্য গরম খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সেবাসহ জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে”।