খারকিভ, ইউক্রেন — ইউক্রেনের একটি পতাকা কাঁধে জড়িয়ে রাশিয়ান সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন, পেনশনভোগী ইরিনা গাইভা।
জাতীয়তাবাদী দলগুলির ডাকা “ইউনিটি মার্চ” বা একাত্মতার মিছিলে কয়েক হাজার লোকের সাথে যোগ দিয়েছিলেন ইরিনা। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা রাশিয়াকে চাই না”।
ইরিনা বলেন, “আমি ক্রাইমিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছি। এটাই যথেষ্ট, তারা ইতিমধ্যে আমাদের স্বদেশ কেড়ে নিয়েছে। আমি এখানে বড় হয়েছি, আমি এখানে থাকি, যদিও আমার বাবা-মা রাশিয়া থেকে এসেছেন, কিন্তু আমি কোনো দখলদারকে আর এখানে দেখতে চাই না”।
তিনি আরও বলেন, “এটা আমার বাড়ি, এগুলো আমার নিয়ম”।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতে ইন্ধন যোগাতে শুরু করে।
ক্রেমলিন ইউক্রেনের সীমান্ত জুড়ে এক লাখেরও বেশি সৈন্য জড়ো করেছে, পশ্চিমা নেতারা আশঙ্কা করছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি বড় ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন।
তবে, মস্কো কোন রকম আক্রমনের কথা অস্বীকার করেছে এবং পূর্ব ইউরোপে নেটোর সম্প্রসারণকে তাঁর দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাশিয়ান সীমান্তের ঠিক পাশেই খারকিভ, একটি শিল্পাঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র। এখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস করে, এর মধ্যে অনেক রুশভাষীও আছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সাথে জনসংখ্যার দৃঢ় সংযোগের কারণে, পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে এই শহরটি দখল করার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে।