চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে বসতঘরে আগুন লেগে দুই শিশু মারা গেছে। অন্যদিকে শহরের বাকলিয়া এলাকায় গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে অগ্নিদগ্ধ দুইবোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাহারঘোনার আব্দুর সমদ মাঝির বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় নিহত দুই শিশু হলো মিনহাজ উদ্দিন (১২) ও রুহি আক্তার (৩)। তারা ওই ইউনিয়নের মো. ইদ্রিসের সন্তান।
বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার সিংহ বলেন, “সরল ইউনিয়নের এক বাড়িতে আগুনে দুই শিশু মারা যাওয়া ঘটনা শুনেছি। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে গেছে।”
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ততক্ষণে বসতঘরসহ দুই শিশু পুড়ে মারা যায়।”
গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোনের মৃত্যু
এদিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে অগ্নিদগ্ধ দুইবোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিশ্চিত করেছেন তাদের বাবা আলাউদ্দিন খালেদ।
মারা যাওয়া দুই বোন হলেন-চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাবরিনা (২৩) এবং একই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সামিয়া খালেদ (১৮)। তাদের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই বোনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বড় মেয়ে সাবরিনা খালেদ এবং সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছোট মেয়ে সামিয়া খালেদ মারা যান।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামে একটি পাঁচতলা ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে গেলে দুই বোন দগ্ধ হন। গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।