ওয়াশিংটন — ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে নেতা ও কূটনীতিকদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার কিয়েভে যান।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ম্যাক্রোঁ বলেন যে , পুতিনের সাথে আলোচনায় তিনি সংকট বৃদ্ধি রোধের লক্ষ্য পূরণ করেছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দমিত্র কুলেবা সোমবার এক টুইটে জানান যে, তার দেশ “কূটনৈতিক সমাধান খুঁজছে কিন্তু তা ইউক্রেনের বিপদসীমা পার করবে না।
তিনি বলেন, ইউক্রেন তার সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না, দোনেটস্ক এবং লুহানস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে "রাশিয়ান দখলদার প্রশাসনের" সাথে সরাসরি আলোচনা করবে না এবং শুধুমাত্র ইউক্রেনের জনগণই দেশের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ করার অধিকার রাখে।
ম্যাক্রোঁর সাথে সোমবারের আলোচনার পর পুতিন জানান, ইউক্রেন বিষয়ে পশ্চিমের সাথে সংকটে “সমঝোতার জন্য” রাশিয়া সর্বাত্নক চেষ্টা করবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা এটুকু বলতে পারি, সার্বজনীন সমঝোতার পথ খুঁজে নিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।”
তিনি বলেন, যে ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হলে আমরা "কেউ জয়ী হবো না"।
ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে এবং পশ্চিমে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুতিন যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোতে ইউক্রেনের সম্ভাব্য সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানায় মস্কো। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের নেটো মিত্ররা মস্কোর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
[ প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ভয়েস অফ আমেরিকার কার্লা ব্যাব সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দ্য এসোসিয়েট প্রেস,এজেন্স ফ্রান্স প্রেস ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে ]।