সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ‘অমীমাংসিত হত্যা মামলা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য অধিকার (আরটিআই) নিয়ে কাজ করা আর্টিকেল ১৯ শুক্রবার এই মামলার তদন্ত কাজ বিলম্ব না করে সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।
আর্টিকেল ১৯ এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, "এই অমীমাংসিত মামলাটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির শক্তিশালী অস্তিত্বের একটি লজ্জাজনক উদাহরণ যা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে খুনিরা মুক্তভাবে থাকতে পারে। যেটা কিনা ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো বিশৃঙ্খলার বিচার করতে রাষ্ট্র ব্যর্থ।"
তিনি বলেন, "এই হত্যা মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়াটা স্পষ্টতই সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।"
ওদিকে ৮৫ বারের মতো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
২৪ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার মহনগর হাকিম তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।