লিবিয়ার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাঘাকে নতুন জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
মিস্রাতার একজন ইসলামপন্থী ও প্রাক্তন মিলিশিয়া কমান্ডার বাশাঘা। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানালেও পদটি গ্রহণ করার জন্য দেশের পশ্চিমে মিলিশিয়া বাহিনীর বাঘাশার প্রতি যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
লিবিয়ার মিডিয়া দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর টোব্রুকে বৃহস্পতিবারের সংসদ অধিবেশনের ভিডিও সম্প্রচার করেছে। সেখানে দেখা যায়, স্পিকার আগুইলেহ সালেহ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নতুন জাতীয় ঐক্যের প্রধানমন্ত্রী ফাতি বাশাঘার অনুমোদনের ঘোষণা দিচ্ছেন।
এর কয়েক মিনিট আগে লিবিয়ার সংসদ একাধিক সাংবিধানিক সংশোধনী অনুমোদন করেছে, যা এখন থেকে ১৪ মাস পর সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে।
পূর্বে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর। ভোটের জন্য লিবিয়া এখনো প্রস্তুত নয়-নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর সে তারিখ বাতিল করা হয়।
সামনে কী ঘটে তা এখনো অস্পষ্ট।
জাতীয় ঐক্যের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ কিছুদিন আগে লিবিয়ার মিডিয়াকে বলেছিলেন যে, নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। এ ধরনের যেকোনো হস্তান্তরকে তিনি “প্রতারণামূলক” বলে অভিহিত করেছেন।
স্পিকার সালেহর মতে, ত্রিপোলিতে অবস্থিত লিবিয়ার সুপ্রিম কাউন্সিল অফ স্টেট নতুন সরকার প্রধান হিসেবে বাশাঘাকে বাছাই করার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছেন। তবে আলা জাজিরা টিভি জানিয়েছে কাউন্সিলের প্রধান খালেদ আল মেশরি সংসদকে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভোট বিলম্বিত করতে বলেছেন।
মিলিশিয়া বাহিনী সংসদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে ত্রিপোলিতে যুদ্ধ শু্রু হতে পারে বলে লিবিয়ার কোন কোন পর্যবেক্ষক সতর্ক করেছেন।