ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে সাজাভোগের পর সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরেছেন ২২ বাংলাদেশি নাগরিক। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারতের সীমান্ত পুলিশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের হস্তান্তর করে।
বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাবর্তনকারীরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে সেখানকার আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে ঠাঁই হয় কারাগারে। পরবর্তীতে বিজিবির উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশি নাগরিকেরা দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন।
দেশে ফেরা নাগরিকরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কয়েছ উদ্দিন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার শহিদুল ইসলাম, রৌমারী উপজেলার আশিক মিয়া, মো. সাইজুদ্দিন, দিনাজপুর জেলার খানশামা উপজেলার জয় চন্দ্র শর্মা, শেরপুর সদর উপজেলার সাব্বির মিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার লিটন গাজি, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আলম হাওলাদার, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আব্দুল গনি, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মো. আছলম আলী, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আইনুল হক, টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার অমূল্য বর্মন, খুলনা জেলার আব্দুল হাকিম, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার জুয়েল হাওলাদার, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার শরিফুদ্দিন মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নাসির আলী ও শাহিনুর, সিলেট জেলার সদরের লিটন ভূমিজ, কানাইঘাটের সেলিম আহমদ, গোলাপগঞ্জের রুহান আহমদ, ঢাকা জেলার জামাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার রাজু আহমদ ও নওগাঁ জেলার রানী নগর উপজেলার মো. ফিরোজ মিয়া।
বিজিবির ব্যাটালিয়ন ৫২–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, “বাংলাদেশে প্রবেশের আগে শেওলা আইসিপিতে নিয়োজিত বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনার কোনো উপসর্গ না পাওয়ায় তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।” তিনি আরও বলেন, “এ রকম আরও বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। পর্যায়ক্রমে সকলকেই দেশে ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতের আসাম রাজ্যের পাঁচটি ও মেঘালয় রাজ্যের দুটি জেল থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০ বাংলাদেশিকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল ব্যক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন আসামের গৌহাটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর।