সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, “এটা তদন্তের বিষয়। এটা কীভাবে রেকর্ড হলো সেটা দেখার বিষয় আছে। নিশ্চিত না হয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।”
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টার সঙ্গে কথোপকথনের অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমাদের সরকারিভাবে এ রকম রেকর্ড করার কোনো সিস্টেম নেই। এটা যদি করে থাকে তাহলে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে (করেছে)। অন্য কোনো প্রযুক্তি বের হয়েছে কি না দেখার বিষয় আছে। এনটিএমসি একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে লফুল ইন্টারসেপশন করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া মনিটর বা প্রকাশ করতে পারে না। কাজেই অনুসন্ধানের ব্যাপার আছে।”
অন্য কোনো দেশ এর সঙ্গে জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলতে পারব না।”
বিছানার চাদর ও বালিশ কিনতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ জার্মানি যাচ্ছেন এমন একটি খবরের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তিনি (আইজিপি) কেন যাবেন? তিনি পত্রিকায় রিজয়েন্ডার দিয়েছেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের দেশে চাদর-বালিশ যথেষ্ট হচ্ছে, আমরা বিদেশেও রপ্তানি করছি। উনি কি ধরনের ইমপোর্ট করেছেন বিস্তারিত জানেন।”
গুম হওয়া অনেকেই স্বেচ্ছায় পালিয়ে থাকেন বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, “আমরা সব সময় বলে আসছি অনেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। অনেকে ব্যবসায় ফেল (ব্যর্থ) করে, মামলা এড়াতে বা সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন।”
তিনি বলেন, “জেনেভায় আমাদের যে নামগুলো দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকের নামেই ১২ থেকে ১৩টি মামলা ছিল কিংবা জেলে আছে বা জামিনেও বের হয়েছে এমনও হয়েছে। আমরা আবারও বলছি গুমের কথা যেগুলো বলা হচ্ছে খুঁজলে অনেককেই আমরা উদ্ধার করতে পারছি বা পারব।”
ফোনালাপ নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটা “ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে” (নির্দোষ কথোপকথন) পুঁজি বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নেতাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ২০ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “যারা এই অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) প্রচার করছে, তারা এতই দেউলিয়া যে, একটা ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে তারা এখন তাদের পুঁজি বানানোর চেষ্টা করছে। তার মানে হচ্ছে, তাদের কাছে কোনো হাতিয়ার নেই। আমার মনে হয়, এটা অবশ্যই তদন্ত করা হবে এবং এটাকে গুরুত্ব দেওয়া আমার মনে হয় সঠিক হবে না।”
তিনি বলেন, আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্নেহের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে আইনজীবীদের দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে তার ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে চেক গ্রহণ করেন বাংলাদশে বার কাউন্সলিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
এ ছাড়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদলসহ বার কাউন্সিলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।