অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিনহা হত্যা মামলায় খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ ও লিয়াকতের আপিল


মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। পুলিশ প্রহরায় এক আসামি। (ছবি- ইউএনবি)
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। পুলিশ প্রহরায় এক আসামি। (ছবি- ইউএনবি)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেছি। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।”

গত ৩১ জানুয়ারি মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

এ মামলায় আদালত লিয়াকত ও প্রদীপ কুমারের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। বাকি সাত অভিযুক্তকে খালাস দেন। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফেরেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে “পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG