সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন,জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকার শর্তে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি সম্পন্ন করতে ইরান ‘তাড়ায় আছে’। এ দিকে পরাশক্তিগুলোর সাথে তেহরানের ২০১৫ সালের চুক্তি রক্ষার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করেছে।
তেহরানের দ্রুত পারমাণবিক অগ্রগতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান পশ্চিমা আতঙ্কের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় মধ্যস্থতাকারীদের সাথে উভয়ের মধ্যকার একটি বৈঠক এপ্রিল থেকে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৫-র চুক্তিটিতে ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধনকে সীমিত করা হয়েছিল যাতে তেহরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের উপাদান তৈরি করা তেহরানের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিটি থেকে প্রত্যাহার করে ইরানের ওপর পুনরায় সুদূরপ্রসারী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরান চুক্তির সীমা লঙ্ঘন করে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের মজুদ আবার গড়ে তোলে ।
তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, “ইরান ভিয়েনায় চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তাড়াহুড়ো করছে...তবে এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিকাঠামোর মধ্যে হওয়া উচিত।“
তিনি পশ্চিমা শক্তিকে “সময় নিয়ে খেলা” বন্ধ করার আহ্বান জানান।
১০ দিনের বিরতির পর গত সপ্তাহে পুনরায় বৈঠক শুরু হয়েছে। তেহরান বলেছে, “মূল বিশেষ সমস্যার জন্য পশ্চিমের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।“ তা সত্ত্বেও চুক্তিটি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেয়া পক্ষগুলো আশাবাদী।
আট দফা বৈঠকের পর বিতর্কের মূল বিষয়গুলো হলো, ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ যেন না নেয়া হয় সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চেয়ে ইরানের দাবি এবং কীভাবে,কখন ইরানের পারমাণবিক কার্যকলাপে যাচাইযোগ্য বিধিনিষেধ আবার চালু করা যায়।
বাইডেন প্রশাসন বলছে যে, ইরান চুক্তিতে সম্মত হলে তারা ২০১৫-র চুক্তির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞাগুলো বাতিল করবে। এর মানে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদ বা মানবাধিকার ব্যবস্থার অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল রাখবে।