গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানা বন্ধ এবং ২৮ সহকর্মীকে শোকজ ও বরখাস্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ওই কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় শিল্প পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে।
গোরিয়ং ফ্যাশন লিমিটেডের বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানায়, বিনা কারণে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কর্তৃপক্ষ তাদের ২৮ সহকর্মীর কাউকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেয়। আবার কাউকে কাউকে বরখাস্ত করে। মঙ্গলবার শ্রমিকেরা গেটে এসে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ ঝুলতে দেখেন। এতে শ্রমিকেরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা খুলে দেওয়া ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জানান, শনিবার কিছু শ্রমিক কারখানার সুইং শাখায় নিজেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে মারামারি করে। তাদের মধ্যে দুটি পক্ষ কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পরষ্পরের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার কারখানা বন্ধ রেখে কয়েক শ্রমিককে শোকজ করা হয়। কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি। সোমবার দুটি পক্ষ নানা দাবি তুলে উৎপাদন বন্ধ রাখে। পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেয়।
টঙ্গী শিল্প পুলিশ-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এস আলম জানান, বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানালে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে মৃদু লাঠিচার্জ ও বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে যায়। এ সময় শিল্প পুলিশের কমপক্ষে পাঁচ সদস্য আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
