মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে যে, ইউক্রেন সীমান্তে তাদের মোতায়েন করা কিছু সেনা সামরিক মহড়া শেষে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের যে আশঙ্কা তা ঠেকাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার তোড়জোরের মধ্যেই এ ঘোষণা এলো। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাশিয়া্র প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার মস্কো গিয়েছেন। জার্মানি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে যে , “ যে কোন মূহুর্তেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে “।
গত সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন "রাশিয়ার অস্থিতিশীল আচরণের মুখে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের জন্য সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ডলারের একটি উন্মুক্ত ঋণ প্রদানের কথা ঘোষণা করেন ।
সোমবার মস্কোতে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ পুতিনকে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান বন্ধ করতে বা পূর্ব ইউরোপ থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেছে । তবে তারা ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন এবং রাশিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত নেটোর সদস্য দেশগুলোতে সামরিক মহড়া নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।
পশ্চিমা নেতাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা চালিয়ে যাওয়া অর্থবহ কিনা-পুতিনের এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যাভরভ বলেছেন, আলোচনা “ এখনও শেষ হতে অনেক বাকি ” ।ল্যাভরভ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
রাশিয়া তার মিত্র বেলারুশ থেকে উত্তরে, রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে পূর্বে এবং দক্ষিণে ক্রাইমিয়ার উপদ্বীপের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে টহলরত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনসহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এবং ১ লাখ ৩০ হাজার সেনা নিয়ে ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়া অধিগ্রহণ করে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে,তাদের গোয়েন্দারা জানিয়েছে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে । তারা ইউক্রেনে বসবাসরত আমেরিকানদের অবিলম্বে দেশ ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আসন্ন যুদ্ধের ভয়ে কিছু বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স ইউক্রেনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
[এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে]