জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া, ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কূটনীতির বিকল্প নেই”।
“মানুষের দুর্ভোগ, ধ্বংস এবং ইউরোপীয় ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে অচিন্তনীয়”, তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে বলেন। পশ্চিমারা বলছে যে, বুধবার এই হামলা ঘটানো হতে পারে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে তিনি বলেন, “আমরা এমন বিপর্যয়কর সংঘর্ষের সম্ভাবনাও মেনে নিতে পারি না”।
তিনি সকল পক্ষের সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করার প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত মাসিক মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গুতেরেস। রাশিয়া এ মাসে কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে এবং তারাই এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে।
এর আগে সোমবার, গুতেরেস রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ২০ মিনিট ধরে একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন। এরপর তিনি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
গুতেরেস তার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিশদ কোনো বর্ণনা দেননি। তবে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক যোগাযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি সতর্ক করেন যে, উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য সহায়ক হবে না।
"প্রকাশ্যে দেওয়া বিবৃতিগুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিত উত্তেজনা হ্রাস করা, পরিস্থিতিকে আরও সঙ্গীন করা নয়”, জাতিসংঘের প্রধান বলেন।
তিনি জাতিসংঘের সনদ থেকেও উদ্ধৃত করে সদস্যদের তাদের আন্তর্জাতিক বিরোধগুলো শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য এবং “কোনো রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি বা শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বা অন্য কোনো উপায়ে জাতিসংঘের মূল বক্তব্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কার্যকলাপ থেকে" বিরত থাকার আহ্বান জানান।
"কূটনৈতিক সমাধান পরিহার করে সংঘাতের পথ বেছে নেওয়া কোনো উপায় হতে পারে না, বরং এটি পাহাড়ের ওপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ার শামিল”, গুতেরেস সতর্ক করে বলেন। “সংক্ষেপে, আমার আবেদন এই, শান্তির পথ পরিহার করবেন না”।