লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর টোব্রুকে অবস্থিত লিবিয়ার সংসদ, আগামী সপ্তাহে একটি নতুন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, দেশটির হাই কাউন্সিল অফ স্টেট বলেছে যে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবেহকে অপসারণের আগে সংসদের পরামর্শ করা উচিত ছিল। দেবেইবেহ পদত্যাগ করতে অস্বীকার করছেন এবং পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিবে তা স্পষ্ট নয়।
লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিভ্রান্তিকর বলাটাও কম বলা হবে।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবেহ এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাশাগা, যাকে সংসদ কর্তৃক দেবেইবেহ-এর স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নাম দেওয়া হয়েছে উভয়ই পশ্চিম লিবিয়ার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণকারী মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাচ্ছেন । উভয় ব্যক্তিই পশ্চিমের বন্দর শহর মিসরাতা থেকে এসেছেন, যেখানে বিভক্ত সমর্থনকারীদের সংখ্যা আরও অস্পষ্ট করে তুলছে যে কোন ব্যক্তি বিজয়ী হবে।
খালেদ আল মেশরি, যিনি দেশটির ত্রিপোলি-ভিত্তিক হাই কাউন্সিল অফ স্টেটের প্রধান, নতুন সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, সংসদ জোর দিয়ে বলে যে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী দেবেইবেহ-এর সময়সীমা ২৪ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে এবং জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংস্থা, যার সময়সীমাও ফুরিয়ে গেছে, তার উত্তরাধিকারীর নাম দেওয়ার অধিকার রয়েছে৷
লিবিয়ার সংসদের স্পিকার আগুইলাহ সালেহ-এর উপদেষ্টা ফাথি মিলামি জোর দিয়ে বলেছেন যে বাশাগার অধীনে নতুন সরকার শাসন করবে যে যাই বলুক না কেন, কারণ তাকে নিয়োগ করার ক্ষমতা সংসদের রয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদ আস্থা ভোট দিলেই নতুন সরকার আনুষ্ঠানিক হয়ে যাবে। এমনকি দেবেইবেহ তার বর্তমান দপ্তর ছেড়ে না গেলেও। তিনি বলেন, বাশাগা ব্যবহারের জন্য অন্য দপ্তর রয়েছে, অন্য কোথাও। তিনি আরো বলেছেন, সংসদ তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অনুমোদনের পরই নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে।