মঙ্গলবার জাতিসংঘ এবং হাইতির সরকারের নেতৃত্বে একটি সম্মেলনে গত বছর দক্ষিণ হাইতিতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধার করতে হাইতিকে ৬০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ক্ষেত্রে চাকরি, পুষ্টি কর্মসূচি এবং আর্থিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা থেকে ৫ কোটি ডলারের সহায়তা ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩ কোটি ডলারেরও বেশি অনুদান এবং কানাডা প্রায় ২ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে হাইতি সরকার ২০০ কোটি ডলারের পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ভূমিকম্পে আনুমানিক ২২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পে হাইতির শতকরা ৭০ ভাগ স্কুল বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় দেশটির শিক্ষাব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেছেন, "সরকারের কাছে যা যা আছে তা দিয়ে যদ্দূর পারা যায় তা সরকার করছে।"
জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ বলেছেন, পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার জন্য মোট ব্যয়ের হিসেব "ভীতিকর" কিন্তু হাইতির জনগণের "স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যত প্রাপ্য।"
তিনি আরও বলেন, “ সাহায্যের জন্য যে বাজেট তা বিশ্বজুড়ে চাপের মধ্যে রয়েছে।এ ব্যাপারে আমরা সচেতন। দাতাদের ক্লান্তি নিয়েও আমরা অবগত এবং হাইতিতে সাহায্যের ফলাফল সম্পর্কে উদ্বেগ আমরা স্পষ্টভাবে শুনেছি। তবে হাল ছেড়ে দেওয়ার সময় এখন নয়।“
[এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে]