মিয়ানমারের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জান্তার বিরোধিতা করা জাতিগোষ্ঠীগত সেনাবাহিনী এবং জান্তা-বিরোধী প্রতিরোধ গোষ্ঠী বলেছে যে তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রাপ্তিতে অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও শহরগুলিতে সামরিক অভিযান এবং গেরিলা যুদ্ধ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রতিবেশী থাইল্যান্ড থেকে আসছে।
এমনকি গত ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের আগেও, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী থাইল্যান্ড ও চীনের সীমান্তবর্তী পূর্বের কাইন এবং কাচিন রাজ্যে, রাখাইন রাজ্যে, ভারত মহাসাগরে; এবং চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের উত্তর অংশে জাতিগোষ্ঠীগত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। এখন, জান্তা বাহিনী সাগাইং এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চিন রাজ্যে এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কায়াহ রাজ্যে প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
অভ্যুত্থান বিরোধী কর্মকান্ডের উপর একটি নৃশংস সামরিক অভিযানের মুখে যে যুবকরা অস্ত্র হাতে নিয়েছে তারা প্রাথমিকভাবে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ পেয়েছে, যাদের দেশের পূর্ববর্তী জান্তাসহ সরকারী বাহিনীর সাথে লড়াই করার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন, এই নতুন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অনেকেই জাতিগোষ্ঠীগত সেনাবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছে, সামরিক ফাঁড়ি, পুলিশ স্টেশন এবং প্রশাসনিক অফিসগুলিতে আক্রমণ শুরু করেছে।
২৬ বছর বয়সী অং থু যিনি দেশের প্রাচীনতম জাতিগোষ্ঠীগত সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকায় বিরোধী বাহিনীর সাথে কাজ করছেন, তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন, তিনি বলেন, "প্রথমে আমরা হাতে তৈরি রাইফেল দিয়ে যুদ্ধ করতাম, কিন্তু এখন আমরা আসল বন্দুক দিয়ে লড়াই করতে পারি,"।
এদিকে, কেএনউ মুখপাত্র পডোহ সো তাও নি তার সংগঠনের কৌশল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষামূলক লড়াই করছি। এখন সময় এসেছে সামরিক স্বৈরশাসকদের উৎখাতের জন্য আক্রমণাত্মক লড়াই করার,"।