অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাবেক নেতার জন্মদিনে মৃতপ্রায় নির্যাতিত বন্দীদের মুক্তি দিল উত্তর কোরিয়া


চীনের সীমান্ত শহর ডংডং এর উল্টো দিকে উত্তর কোরিয়ার ইয়ালু নদীর পাড়ে কারাগারের প্রাচীরের পেছনে পাহারা দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার একজন নারী কারা রক্ষী। (ফাইল ছবি- জ্যাকি চেন/ রয়টার্স)
চীনের সীমান্ত শহর ডংডং এর উল্টো দিকে উত্তর কোরিয়ার ইয়ালু নদীর পাড়ে কারাগারের প্রাচীরের পেছনে পাহারা দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার একজন নারী কারা রক্ষী। (ফাইল ছবি- জ্যাকি চেন/ রয়টার্স)

উত্তর কোরিয়া দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে কয়েক হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার আনন্দের পাশাপাশি মুক্তিপ্রাপ্ত অনেকের মনে বন্দীদশায় নিপীড়নের ভয় রয়েছে বলে, দেশটির সূত্রগুলো আরএফএ-কে জানায়।

বুধবার দেশটির সাবেক নেতা কিম জং ইলের ৮০তম জন্মবার্ষিকী ছিল। ২০১১ সালে তার মৃত্যুর পর, তার পুত্র কিম জং উন দিনটিকে একটি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটিকে “ডে অফ দ্য শাইনিং স্টার” নামকরণ করে সেটিকে “ডে অফ দ্য সান”–এর সমপর্যায়ে উন্নীত করেন। “ডে অফ দ্য সান” কিম ইল সাং এর জন্মদিবস। ইল সাং, কিম সাম্রাজ্যের জনক এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাতা।

উত্তর কোরিয়ার কারাব্যবস্থার নিষ্ঠুরতা কুখ্যাত। দেশটি ছেড়ে পালানো সাবেক বন্দীরা জানিয়েছেন যে, কারাবন্দীদের অত্যন্ত স্বল্প খাবার দেওয়া হয়, জনাকীর্ণ জেলঘরে রাখা হয়, নির্যাতন করা হয়, কঠোর পরিশ্রম করানো এবং যৌন নিপীড়ণ করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের জন্য আনন্দের কারণ। তবে দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত উত্তর হামগিয়ং প্রদেশের একজন বাসিন্দা আরএফএ –এর কোরিয়ান সার্ভিসকে বলেন যে, ডে অফ দ্য শাইনিং স্টারের পূর্বে মুক্তিপ্রাপ্ত অনেক বন্দী এতটা নিপীড়িত যে, দেখে মনে হচ্ছিল তারা মৃতপ্রায়।

পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ করে ওই সূত্রটি বলেন যে, “মুক্তিপ্রাপ্তরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছিলেন এবং কোনোমতে হাঁটতে পারছিলেন দেখে সকলেই হতচকিত হয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “কয়েকজন কয়েদী নড়াচড়াও করতে পারছিলেন না, তাই তাদের পরিবারের তাদেরকে স্ট্রেচারে করে বাড়ি নিয়ে যেতে হয়েছে”।

XS
SM
MD
LG