অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের শিক্ষকদের জন্য ইউনিসেফের অর্থ সহায়তার ঘোষণা


আফগানিস্তানের গজনী প্রদেশের লাঙ্গার গ্রামের একটি স্কুলের ১২ গ্রেডের ক্লাসে পড়াচ্ছেন একজন শিক্ষিকা। (ছবি- হেক্টর রেতামাল/ এএফপি)
আফগানিস্তানের গজনী প্রদেশের লাঙ্গার গ্রামের একটি স্কুলের ১২ গ্রেডের ক্লাসে পড়াচ্ছেন একজন শিক্ষিকা। (ছবি- হেক্টর রেতামাল/ এএফপি)

ইউনিসেফ রবিবার আফগানিস্তানের সকল সরকারি শিক্ষকদের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য একটি জরুরি নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এই পদক্ষেপ দেশটির সকল মেয়ে ও ছেলে শিশুর অব্যাহত শিক্ষা নিশ্চিত করবে।

ইওরোপীয় ইউনিয়ন প্রদত্ত তহবিলটির অর্থ দেশটির ১ লাখ ৯৪ হাজার পুরুষ ও নারী শিক্ষকদের সুবিধা প্রদান করবে। এ সব শিক্ষকেরা গত ছয় মাস ধরে কোনো বেতন পাননি। তহবিলটির আকার প্রতি শিক্ষককে প্রতি মাসে ১০০ ডলার অর্থ প্রদানের সমমূল্য পরিমাণ।

ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, সংস্থা (ইউনিসেফ) ও তার অংশীদারেরা আফগানিস্তানের এই শিক্ষকদের “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার” স্বীকৃতি হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই শিক্ষকদের কাছ থেকে দেশটির ‍সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি থাকা প্রায় ৮৮ লাখ শিশু শিক্ষা গ্রহণ করছে।

দেশটিতে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মোহামেদ আয়োয়া বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে ইউনিসেফের অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) ডলার প্রয়োজন এবং এই উদ্যোগটি অর্থায়নে সংস্থাটিকে সহায়তা করতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আফগানিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টমাস ওয়েস্ট মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শনিবার বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, আফগানিস্তানের মেয়েদের আগামী মাসে বিদ্যালয়ে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন তার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাংকের কাছে শিক্ষকদের ভাতা প্রদান, বইয়ের জন্য সহায়তা এবং ভবনগুলোর সংস্কার ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ১৮০ মিলিয়ন (১৮ কোটি) ডলার অতিরিক্ত বরাদ্দের একটি প্রস্তাব করেছি।”

তবে ওয়েস্ট জোর দিয়ে বলেন, “কিন্তু আমরা তালিবানের তরফ থেকে কী দেখতে চাই? তারা বলেছিল, ২০ মার্চ নওরোজের (আফগান নববর্ষের প্রথম দিন) পরে দেশব্যাপী নারী ও মেয়েদের শিক্ষা উন্মুক্ত করবে ও তাদের ভর্তি করবে।” তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে কি না তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।”

XS
SM
MD
LG