জার্মানির একটি সংবাদপত্র ও অন্যান্য কয়েকটি মাধ্যম রবিবার জানায় সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট সুইসের ফাঁস হয়ে যাওয়া ৩০,০০০ এরও বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে - তাদের মধ্যে কিছু ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং অনেক গ্রাহকের চেকগুলির ব্যাপারে সম্ভাব্য গাফিলতির বিষয়টি নির্দেশ করে৷
এক বিবৃতিতে ক্রেডিট সুইস জানায় " তারা ব্যাঙ্কের কথিত ব্যবসা সম্পর্কিত অভিযোগ এবং আপত্তিগুলি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে" ।
জার্মান দৈনিক পত্রিকা সুইডুয়েডটশে জেইটুং জানায় এক বছরের কিছু আগে একটি নিরাপদ ডিজিটাল মেলবক্সের মাধ্যমে তারা বেনামি কিছু তথ্য পায় ৷ তারা জানায় তথ্যের সূত্র এক ব্যক্তি না কি কোনো গোষ্ঠী তা স্পষ্ট নয় এবং সংবাদপত্রটি কোনো প্রতিশ্রুতি বা অর্থ প্রদান করে নি।
সংবাদপত্রটি জানায় ১৯৪০ সাল থেকে গত দশক পর্যন্ত সংগঠিত অপরাধ ও দুর্নীতি রিপোর্টিং প্রকল্প এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্যগার্ডিয়ান পত্রিকাসহ ডজন খানেক সহযোগী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত তারা পর্যালোচনা করে দেখেছ।
পত্রিকাটি জানায় এসব তথ্য নির্দেশ করে যে ব্যাংকটি "দুর্নীতিপরায়ণ স্বৈরশাসক, সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধী এবং মানব পাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য অপরাধীদের" গ্রাহক হিসাবে গ্রহণ করেছে।
ক্রেডিট সুইস জানায় "এসব অভিযোগ প্রধানত ঐতিহাসিক এবং এসব একাউন্ট আংশিক, ভুল বা অপ্রাসঙ্গিক ভাবে বাছাই করা কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে রচিত , যাতে ব্যাংকের ব্যবসায়িক আচরণের প্রবণতার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্কটি জানায় তারা অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনেক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখেছে এবং ৯০% অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বা বন্ধ করা হবে, এবং সংবাদ মাধ্যমের চাপ আসার আগে এসব অ্যাকাউন্টের ৬০%’র ও বেশি বন্ধ করে দেয়া হয়।
সুইজারল্যান্ডের রয়েছে কর ফাঁকি, অর্থ পাচার ও সরকারি তহবিল আত্মসাৎ করার, ব্যাঙ্কিং গোপনীয়তা নীতি অপব্যববহার করার এক ভাবমূর্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুইজারল্যান্ড সেই ভাবমূতি মোচনের প্রয়াস চালাচ্ছে। তবে এখনো তাদের ব্যাঙ্কিং আইনগুলো সমালোচনার মুখে।