ঘটনাটির সূত্রপাত হয় যোগব্যায়াম থেকে।
যখন এই মাসে কুয়েতের একজন প্রশিক্ষক সুস্থতার জন্য মরুভুমিতে গিয়ে যোগব্যায়াম অনুশীলন করার একটি সফরের বিজ্ঞাপন দেন, তখন রক্ষণশীলরা সেটিকে ইসলামের উপর আঘাত হিসেবে ঘোষণা করেন। উন্মুক্ত স্থানে নারীদের পদ্মাসন বা অধোমুখ শবাসনের “বিপদ” এবং হীনতা নিয়ে গর্জে উঠেন আইনপ্রণেতা ও ধর্মগুরুরা। অবশেষে সফরটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
যোগব্যায়াম নিয়ে এই হট্টগোলটি, শেখের রাজ্যটিতে নারীদের আচরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা মাত্র। সেখানকার বিভক্ত সমাজে ইসলামপন্থী ও আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা প্রদর্শন করে চলেছে। রক্ষণশীল রাজনীতিকরা একটি অগ্রসরমান নারীবাদী আন্দোলনকে ক্রমবর্ধমানভাবে পেছনে ঠেলছে। প্রধান সমস্যাগুলোর বিষয়ে সরকারের গভীর অকার্যকরতার মাঝে, তারা এমন নারীবাদী আন্দোলনকে কুয়েতের ঐতিহ্যের ভাঙন হিসেবে দেখেন।
কুয়েতের জন্য এটি একটি অস্বস্তিকর প্রবণতা। অন্যান্য আরব দেশগুলোর তুলনায় নিজেদের প্রগতিশীলতা নিয়ে দেশটি এক সময়ে গর্ব করত।
গত কয়েক মাসের মধ্যেই কুয়েতের কর্তৃপক্ষ একটি জনপ্রিয় জিমনেশিয়াম বন্ধ করে দেয়, কারণ সেখানে বেলিড্যান্স শেখানো হত। ধর্মগুরুরা দাবি করেছেন যাতে পুলিশ নারীদের জন্য আয়োজিত “দ্য ডিভাইন ফেমিনিন” নামের আরেকটি সফরের আয়োজকদের গ্রেফতার করে। তাদের মতে নামটি ধর্মবিরোধী। সরকার যাতে দেশটিতে নেটফ্লিক্স নিষিদ্ধ করে সেই বিষয়ে করা একটি মামলায়, কিছুদিনের মধ্যেই কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হবে। নেটফ্লিক্স আরবী ভাষায় তাদের নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রটি প্রকাশ করলে সে বিষয়ে দেশটিতে হৈচৈ শুরু হয়।
হামদান আল-আজমী নামক একজন রক্ষণশীল ইসলামপন্থী, যোগব্যায়ামের বিরুদ্ধে অপবাদটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বহিরাগতরা আরবের ঐতিহ্যকে পদদলিত করছে এবং এমন ব্যায়ামকে তিনি সাংস্কৃতিক বিকৃতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।