রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করার পর সোমবার গভীর রাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলসিয়াস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, "রাশিয়ান ফেডারেশনের যে কোনো বিবৃতি এবং পদক্ষেপ সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইউক্রেনের সীমানা অপরিবর্তনীয় ছিল এবং থাকবে।“
তিনি আরও বলেন "আমরা রাশিয়ার কাছে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত বাতিল করার এবং আলোচনায় ফিরে আসার দাবি জানাচ্ছি।“
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন ঘোষণা দিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করায় তারা মস্কোর ওপর প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
জাতিসংঘের রাজনৈতিক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো সতর্ক করে বলেছেন, "পরবর্তী সময়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি বলেন, " বাস্তবে বড় ধরণের সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে এবং যেকোনো মূল্যে তা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।"
রাশিয়ার দূত বলেন, কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যদের কথা শুনে যে কেউ মনে করতে পারেন যে মস্কো হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, "অবশ্যই, ঘটনাটি এমন নয়। মনে রাখা উচিত যে, ডিপিআর এবং এলপিআর ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল।কিন্তু শুরু থেকেই প্রজাতন্ত্র এবং রাশিয়ান সমাজ উভয়েরই বিপুল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও আমরা এখন তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।"
অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই)-র বিশেষ পর্যবেক্ষণ মিশন ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে ৩,০০০-এর বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন লিপিবদ্ধ করেছে, যার মধ্যে লুহানস্ক অঞ্চলে ৯২৬টি বিস্ফোরণ এবং ডোনেটস্কে ১,১০০টি বিস্ফোরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ এটির কারণ বা উৎস চিহ্নিত করা হয়নি।
কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিল সদস্যরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।