অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দাম বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে 


রাশিয়ার ইয়ারাক্তা তেল ক্ষেত্রে কাজ করছেন একটি তেল কোম্পানির একজন কর্মী। (ফাইল ফটো- রয়টার্স)
রাশিয়ার ইয়ারাক্তা তেল ক্ষেত্রে কাজ করছেন একটি তেল কোম্পানির একজন কর্মী। (ফাইল ফটো- রয়টার্স)

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়া সৈন্য স্থানান্তরিত করায় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় জ্বালানি বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উভয়েরই উল্লেখযোগ্য হারে দাম বাড়তে পারে।

গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৯৬ ডলারের ওপরে ছিল, যা ডিসেম্বরের শুরুতে ছিল ৭০ ডলারেরও নিচে। ব্রেন্ট ক্রুডের দামকে জ্বালানি তেলের দামের মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়।

সোমবার এবং মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার একটি তালিকা ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা ব্যাঙ্ক এবং রাশিযার ধনী ব্যক্তিদের ওপর আরোপ করা হয়েছে । রাশিয়ান জ্বালানি ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো পদক্ষেপ তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, এর ফলে আমেরিকানদের জ্বালানির উচ্চ মূল্য পরিশোধ করার মতো পরিণাম ভোগ করতে হবে।

গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন শুরু করার আগেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তেলের বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে অস্থিতিশীল ছিল।

লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর এনার্জি স্টাডিজের সহযোগী গবেষণা অধ্যাপক গ্রেগরি আপটন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন যে, যদি ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় তাহলে তা মহামারীর সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া তেল উৎপাদনকারীদের কিছু উৎপাদন সুবিধা পুনরায় সক্রিয় করতে উৎসাহিত করবে।

এর অর্থ এই নয় যে, নিকটবর্তী সময়ে উল্লেখযোগ্য কোন বিঘ্ন ঘটবে না। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত আপটন বলেছেন যে , ধারণা করা যায় ভবিষ্যতের বাজারে মধ্যমেয়াদে তেলের দাম কমবে।

XS
SM
MD
LG