বুধবার ভোরবেলা ঘূর্ণিঝড় এমনাতি মাদাগাস্কারের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ে, বাড়িঘর ধ্বংস করে। এমনাতির ফলে কয়েক সপ্তাহ আগে আরেকটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের আঘাত থেকে এখনও পুনরুদ্ধারের কাজ চলা এ অঞ্চলে বন্যা ও খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এমনাতি আসার আগে তিরিশ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ আবাসনে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মাদাগাস্কারের ঝুঁকি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ন্যাশনাল অফিস অনুমান করে যে, আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ সর্বসাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের দ্বীপ মাদাগাস্কার বন্যপ্রাণী এবং অক্ষত প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। দেশটিতে গত মাসে চারটি বড় গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের আঘাতে ইতোমধ্যেই প্রায় ২০০জনের মৃত্যু হয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সমস্যাগুলো আরও জটিল হয়েছে৷
কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়ার ধরণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং মাদাগাস্কারের মতো অরক্ষিত জায়গায় জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে তা ঘূর্ণিঝড়গুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।ইতোপূর্বে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা আরও "উচ্চ-প্রভাবযুক্ত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়" সম্পর্কে সতর্ক করেছিল যা এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।
মাদাগাস্কারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মধ্যরাতের দিকে ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি (৮৪ মাইল) এবং ১৯০ কিমি (১১৮ মাইল) এর মতো গতিবেগের শক্তিশালী দমকা হাওয়া সহকারে এমনাতি দক্ষিণ-পূর্বের মানাকারা আতসিমো জেলায় স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। দক্ষিণ-পূর্বের ছয়টি অঞ্চল রেড অ্যালার্টে রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যেই বাতসিরাই দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো ফসল ধ্বংস এবং পরিবহন সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে গুরুতর খাদ্য সংকটের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। পূর্বাভাসকারীরা মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের মরসুম শেষ হওয়ার আগে মাদাগাস্কার অঞ্চলে আরও ৮ থেকে ১২টি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন।