অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; ট্যাংক প্রবেশ করেছে ইউক্রেনে


 কিয়েভে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভের একটি দৃশ্য এবং 'আমি ইউক্রেনকে ভালোবাসি' লেখা একটি চিহ্ন।২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
কিয়েভে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভের একটি দৃশ্য এবং 'আমি ইউক্রেনকে ভালোবাসি' লেখা একটি চিহ্ন।২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।

বৃহস্পতিবার ভোরের ঠিক আগে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ দেশটির আধা ডজনেরও বেশি শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর লক্ষ্যবস্তু ছিল প্রতিরক্ষা স্থাপনা ও সামরিক পরিকাঠামো। একই সাথে ইউক্রেনের দক্ষিণ উপকূলে রাশিয়ার সৈন্যরা অবতরণ করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে একটি বক্তব্য সম্প্রচারের কিছু সময় পরেই হামলা শুরু হয়। বক্তব্যটিতে পুতিন এটিকে একটি “বিশেষ সামরিক অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে, ইউক্রেনের নেতারা বলছেন যে এটি তাদের দেশের উপর একটি পূর্ণমাত্রার আক্রমণ। ইউক্রেন ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।

মস্কো সময় ভোর ৬টার ঠিক আগে সম্প্রচারিত একটি রাগান্বিত বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন যে, ইউক্রেন থেকে দেওয়া হুমকি তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। বহিরাগত শক্তিদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে সতর্ক করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন যে, তার উদ্দেশ্য হল “ইউক্রেনকে বেসামরিকীকরণ করা ও নাৎসীবাদ মুক্ত করা”। তিনি আরও বলেন, “আমরা তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করব যারা কিনা অনেক অপরাধ করেছেন, যারা বেসামরিক জনগণের রক্তপাতের জন্য দায়ী যাদের মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।”

পুতিন সতর্ক করেছেন যে ইউক্রেনের সৈন্যরা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে তাহলে তারা রক্তক্ষয়ের জন্য দায়ী থাকবে।

তিনি বক্তব্য প্রদানের কিছু সময় পরেই, ইউক্রেনের পূর্ব দিকের শহর খারকিভ-এ রকেটের প্রবল শব্দ শোনা যায়। এরপর রাজধানী কিয়েভের আশপাশে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্ফোরণের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়। শব্দগুলো রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দর বোরিসপিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জুলিয়ানিতে অবস্থিত শহরটির দ্বিতীয় বিমানবন্দরের দিক থেকে আসতে থাকে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রাইমিয়া থেকে ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করেছে রাশিয়ার ট্যাংক। ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপটি রাশিয়া ২০১৪ সালে দখল করেছিল। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান যে, ওডেসার কাছে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে অবতরণ করেছে রাশিয়ার বাহিনী।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানায় যে লুহানস্ক, সুমি, খারকিভ, জোটোমির ও চেরনিহিভ ওব্লাস্ট (বিভাগ) আক্রমণের শিকার হয়েছে। তারা আরও জানায় যে ক্রাইমিয়া থেকে রাশিয়ার বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করছে।

XS
SM
MD
LG