অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার উপর “ব্যাপক” নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইইউ


ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসালা ভন ডার লেইন ব্রাসেলসে ইউক্রেনের ওপর ইইউ শীর্ষ সম্মেলন শেষে চলে যাচ্ছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসালা ভন ডার লেইন ব্রাসেলসে ইউক্রেনের ওপর ইইউ শীর্ষ সম্মেলন শেষে চলে যাচ্ছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।

ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা, তাদের ভাষ্যমতে, “বিশাল” নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্মেলনটি বৃহস্পতিবার গড়িয়ে শুক্রবার প্রথম প্রহর পর্যন্ত চলে। রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে, এমন খবর পাওয়ার সময়ে এই পদক্ষেপের ঘোষণাটি আসে।

এক সপ্তাহের মধ্যে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিরাও দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইইউ নেতারা জানান যে, তারা রাশিয়াকে পাঁচটি ক্ষেত্রে আঘাত করবে। আর্থিক, জ্বালানী ও পরিবহন খাত ছাড়াও রফতানী নিয়ন্ত্রণ ও ভিসা নীতির মাধ্যমে সেটি করা হবে।

ইইউ এর নির্বাহী বিভাগ, ইউরোপীয়ান কমিশন এর প্রেসিডেন্ট, আরসালা ভন ডের লেয়েন বলেন যে, রাশিয়ার অর্থনীতি ও দেশটির রাজনৈতিক অভিজাতদের উপর এর সর্বোচ্চ প্রভাবটি পড়বে।

তিনি বলেন, “এইবারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যার ফলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুঁজি বাজারগুলোতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা রাশিয়ার ৭০% ব্যাংকিং বাজারকে আমাদের লক্ষ্যবস্তু করেছি, কিন্তু একই সাথে প্রতিরক্ষা খাত সহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”

কর্মকর্তারা বলছেন যে, নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অনেক ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত হয়ে যাবে, বিমান ও বিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এবং রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির লভ্যতা সীমিত হয়ে যাবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রভাব তো রয়েছেই।

সর্বসাম্প্রতিক এই পদক্ষেপগুলো এমন সময়ে আসল যখন কিনা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপ সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ইউরোপ ইতোমধ্যেই এর প্রভাব দেখতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের সংঘাত এড়াতে সেখান থেকে পলায়নরত মানুষজন ইতোমধ্যেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

XS
SM
MD
LG