বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশ অর্জনের পেছনের সংগ্রাম ও ত্যাগ সম্পর্কে জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি এসব ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানে তাহলে তারা দেশপ্রেমের মূল্য শিখবে। তাদের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।”
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর নির্মিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবন পট” শীর্ষক ১৫০ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংয়ের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, “সরকার ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়ায় দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং মানুষ শিক্ষা ও অন্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “এই উন্নয়নের সঙ্গে আমি মনে করি যে, এই অর্জনগুলোর পেছনের ত্যাগ ও সংগ্রাম জনগণকে জানতে হবে।”
তিনি জনগণের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে নিরস্ত্র বাঙালিদের সাহসিকতার কথাও স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আমাদের শিশু, যুবক ও নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানতে হবে। এটা জানলে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত হবে।…তারা দেশের জনগণের সেবা করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি, সত্যের জয় হয়েছে।”
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের চিত্র তুলে ধরে দেশের দীর্ঘতম স্ক্রল পেইন্টিং এঁকেছেন শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে দুই সপ্তাহ ধরে এই চিত্রকর্মের প্রদর্শনী চলবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রদর্শনীর আয়োজক সহযোগী বিজ্ঞাপনী সংস্থা “মাত্রা”র পক্ষ থেকে ম্যানেজিং পার্টনার শিল্পী আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি শিল্পী জামাল আহমেদ বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিম সং এবং স্ক্রল পেইন্টিংযের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়।