অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউরোপ ইউক্রেনের শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে শুরু করেছে


পোল্যান্ডের প্রেজিম্যাসেল রেল স্টেশনে ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের ট্রেনটি পৌঁছুচ্ছে, ২৭ শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২/ছবি এপি

রুশ অভিযান থেকে পালিয়ে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপে প্রবেশ করছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আগামী সপ্তাহগুলিতে ১০ থেকে ৫০ লাখ লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারে। পোল্যান্ডের মত দেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে, যা আগে অন্যান্য শরণার্থীদের বেলায় বন্ধ রেখেছিলো।

ইউক্রেনের বহু মানুষ যে কোন ধরণের পরিবহনের সাহায্যে নিরাপত্তার সন্ধানে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন। পোল্যান্ডে শরণার্থীদের এই গ্ৰুপটি আসছে ট্রেন যোগে।

অন্যান্যরা পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ার সীমান্তে গাড়ি বা পায়ে হেটে পৌঁছাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন। ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ইউক্রেনের যেসব নাগরিকের বয়স, তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না, কারণ মাতৃভূমি রক্ষায় তাদেরকে দেশে থাকতে হবে।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসুলা ভন দের লিয়েন ইউক্রেনের শরণার্থীদের সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিয়ে জানান শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত জনগণকে ইকো নামে তাদের মানবিক সহায়তা দপ্তরের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশা করে যতটা সম্ভব অল্প সংখ্যক ইউক্রেনের নাগরিক রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন, তবে তিনি জানান, ইউরোপ তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি যদিও শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিল, হাঙ্গেরি এমনকি সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করে। পোল্যান্ড এ বছরের শুরুতে বেলারুশ থেকে মধ্য প্রাচ্যের শরণার্থীদের নতুন ঢেউ ঠেকাতে সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে।

তবে এবার তারা ভিন্নভাবে তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। পোল্যান্ড ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে অভ্যর্থনা কেন্দ্র খুলেছে।

শরণার্থী অধিকার গ্ৰুপগুলি এবারের সীমান্তের দরজা খুলে দেয়াকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে সেই সঙ্গে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

XS
SM
MD
LG