রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সাথে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পুতিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে রবিবার পারমাণবিক বাহিনীকে "যুদ্ধের দায়িত্বের বিশেষ ব্যবস্থায়" রাখতে বলেছিলেন। তিনি তার কর্মকর্তাদের বলেন, নেতৃস্থানীয় নেটো দেশগুলো "আক্রমণাত্মক বিবৃতি" দিচ্ছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি রবিবার এবিসি নিউজকে বলেছেন, "কোন সময়েই রাশিয়া নেটোর হুমকির মুখে ছিল না"।
একজন জ্যেষ্ঠ আমেরিকান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধকে উচ্চ সতর্কতায় রাখার সিদ্ধান্ত নেহাত "অপ্রয়োজনীয়" এবং "বাড়াবাড়ি"।
এদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি কোনও পূর্বশর্ত ছাড়া রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা শুরু করতে বেলারুশ সীমান্তে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে সম্মত হয়েছেন।
এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন যে তিনি রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি, তবে বেলারুশের অভ্যন্তরে নয়। কারণ রাশিয়া বেলারুশ থেকেই ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালানো শুরু করেছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার মালিকানাধীন, রাশিয়ান-নিবন্ধিত বা রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত বিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন রবিবার ঘোষণা করেছেন, " রাশিয়ান কোনও বিমান ইইউর ভূখণ্ডে অবতরণ, উড্ডয়ন বা ওপর দিয়ে যেতে পারবে না।"
রাশিয়ার আগ্রাসনের চতুর্থ দিন রবিবার রাজধানী কিয়েভ, এবং অন্যান্য শহরগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং নাগরিক সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি টুইট করেছেন, "যুদ্ধবিরোধী জোট একযোগে কাজ করছে।"
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বিদেশি নাগরিকদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।