রাশিয়ার অব্যাহত আগ্রাসনের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইওরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অবিলম্বে ইউক্রেনকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছেন।
জেলেনস্কি ২৭-সদস্যের ইইউ–তে যোগদানের জন্য একটি আবেদনে স্বাক্ষর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবিসহ পোস্ট করেছেন। একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, “আমরা একটি নতুন বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ইউক্রেনের জরুরি যোগদানের জন্য ই্ওরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আবেদন করছি।”
“আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমরা আমাদের মিত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞ”, জেলেনস্কি বলেন। “তবে আমাদের লক্ষ্য হলো সমস্ত ইওরোপীয়দের সঙ্গে একত্রিত হওয়া এবং বিশেষ করে পায়ে পা মিলিয়ে চলা। আমি নিশ্চিত এটাই ন্যায্য। আমি নিশ্চিত যে আমরা এটি অর্জন করে নিয়েছি। আমি নিশ্চিত এটা সম্ভব।”
যেকোনো দেশের আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ-তে যোগদানের জন্য সাধারণত কয়েক বছর সময় লাগে। এটি একটি বহুস্তর বিশিষ্ট প্রক্রিয়ার অংশ, যাতে অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশগুলোকে ইইউ প্রদত্ত মানগুলো পূরণে ব্যাপক সংস্কার চালাতে হয়।
জেলেনস্কির অফিসের প্রধান, আন্দ্রি সিবিহা তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বলেছেন যে, ইইউ–তে অন্তর্ভুক্তির অনুরোধের নথিগুলো “ব্রাসেলসের পথে রয়েছে”।
ইইউ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেছে এবং কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইইউ আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
রবিবার ইওরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন রবিবার ইউক্রেনের বিষয়ে ইউরোনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন: “তারা আমাদের একজন, এবং আমরা তাদের আমাদের দলে চাই।”
ভন ডের লেইনের মুখপাত্র, এরিক মামার, সোমবার স্পষ্ট করেছেন যে, ইইউ প্রধানের বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে, ইউক্রেন অবিলম্বে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ভন ডের লেইন “স্পষ্ট করে বলেছেন যে, একটি প্রক্রিয়া আছে (ইইউতে যোগদানের জন্য), এবং আমি মনে করি এটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
ইউক্রেনের জন্য ইওরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আবেদন, যদিও অনেকটাই প্রতীকী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষোভ আরও বাড়াতে পারে। পুতিন দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস থেকে নেওয়া হয়েছে]