যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউক্রেন পরিস্থিতির একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় নেটো মিত্র এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করার জন্য বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, ব্লিংকেন প্রথমে ব্রাসেলসে যাবেন।সেখানে তিনি নেটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এবং জি-৭ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হবেন।
ব্লিংকেন শনিবার পোল্যান্ডে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিবিগনিউ রাউসহ পোলিশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পোল্যান্ড সফর করবেন। সেখানে তিনি "রাশিয়ার অব্যাহত আগ্রাসনের মুখে আরও নিরাপত্তা সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রাইস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষকে উদারভাবে স্বাগত জানানোর জন্য পোল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানাবেন এবং পুতিনের এই যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
শনিবার পরের দিকে ব্লিংকেনের মলডোভা সফর করার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু, প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গাভ্রিলিতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপস্কুর সাথে মলডোভায় শরণার্থীদের গ্রহণ ও সহায়তা করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সেই প্রচেষ্টার জন্য আমেরিকার সমর্থনের উপর জোর দিবেন।
ব্লিংকেন ৬ই মার্চ থেকে ৮ই মার্চ পর্যন্ত লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া এবং এস্টোনিয়ায় সফর করবেন সে সব দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার লক্ষ্যে। ইউক্রেনকে সমর্থন করা, নেটোর প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষাকে জোরদার করার জন্য এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে তুলে ধরার জন্য ঐ দেশগুলির নেতাদের সাথে যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনাকরবেন।
বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ব্লিংকেন বলেন, ইউক্রেন সংকটের অবসানের লক্ষ্যে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে গভীর কূটনীতি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, "যদি এমন কূটনৈতিক পদক্ষেপ থাকে যা ইউক্রেনীয় সরকার বিশ্বাস করেন যে তা সহায়ক হবে তবে সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারি--- যদিও আমরা ইউক্রেনের নিজেদের রক্ষা করার ক্ষমতাকে সমর্থন করে চলেছি।”