ব্যাংকক — মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সংঘাত শুরু হলে দেশের সুদূর পূর্বের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে এবং বিপক্ষে জোটবদ্ধ হয়ে নগদ অর্থের জন্য মাদকের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এই সপ্তাহে ভিওএ-কে একথা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, থাইল্যান্ডের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তার কারনে লাওসের মধ্য দিয়ে এশিয়ার বাকি অংশে এই মাদকদ্রব্য চলে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় বলছে, গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ মেথামফেটামিন "ইয়াবা" ট্যাবলেট আটক করা হয় এবং প্রতিবেশি দেশগুলোতে এর খুচরা দাম পড়ে যায়। ফলে মিয়ানমারের অশান্ত শান রাজ্য থেকে প্রতিবেশী দেশ চীন, লাওস এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৬,০০০ কোটি ডলারের মাদক ব্যবসার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।
ইউএনওডিসি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস ২রা মার্চ ভিওএ-কে জানিয়েছেন, “বিগত বছরগুলোতে ইয়াবার উৎপাদন ঠিক কতটা বেড়েছে তা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব, কারণ এটি খুব গোপনীয়তার সাথে ল্যাবগুলিতে করা হয়। তবে কোন সন্দেহ নেই বর্তমানে উৎপাদন অনেক বাড়ানো হয়েছে, এবং ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণে ইয়াবা উৎপাদন করা হয়”।
ইউএনওডিসি’র দ্বারা সংকলিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ২০২০ সালের তুলনায় মেথাএমফেটামিনের জব্দ করার হার ২০% বেড়েছে, যা একটি রেকর্ড বছর ছিল এবং মালয়েশিয়ায় এর হার ৪০% এরও বেশি।
গত অক্টোবরে লাওসে এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক নথিভুক্ত মাদকের চালান জব্দ করা হয়। শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী বোকেও প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকের ভিতর বিয়ার ক্রেটের মধ্যে প্যাক করা অবস্থায় ৫.৫ কোটি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১.৫ টন মেথাএমফেটামিন ক্রিস্টাল, বা "আইস" জব্দ করা হয়।