বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায় এক যুবককে চার দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৬ মার্চ) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত মন্টি দত্ত (৩৮) নরসিংদী শহরের উত্তর কান্দাপাড়া পাতিলবাড়ি রোড এলাকার মৃত নিরঞ্জন দত্তের ছেলে।
মন্টির পরিবারের সদস্য ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, রবিবার সকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে মন্টির কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে শাকিল ওই সময় মন্টিকে কয়েকটি চড় মারেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সকালের ঘটনার বিষয় নিয়ে ফখরুলের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়।
এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ফখরুল তার সঙ্গীয় ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে আবার পিটিয়ে মন্টির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। পরে প্রতিশোধ নিতে মন্টি লোক জড়ো করছেন এমন খবর পেয়ে ফখরুল ও তার সহযোগীরা পুনরায় পাতিলবাড়ি রোড এলাকায় গিয়ে তাকে চতুর্থ দফায় মারধর করেন।
নিহত মন্টির স্ত্রী তৃণা দত্ত বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে খবর পেয়ে তার স্বামী মন্টি দত্তকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। রবিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা লোপা চৌধুরী বলেন, “ওই যুবককে জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার লাশ রাতেই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।”
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, “দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।”