অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হয়নি রাশিয়া


নেদারল্যান্ডস এর দি হেগ-এর আন্তর্জাতিক আদালতের সামনে ঘাসের ওপর 'পুতিন কাম আউট' লেখা মোমবাতি। মার্চ ৭, ২০২২। (ছবি- এপি)
নেদারল্যান্ডস এর দি হেগ-এর আন্তর্জাতিক আদালতের সামনে ঘাসের ওপর 'পুতিন কাম আউট' লেখা মোমবাতি। মার্চ ৭, ২০২২। (ছবি- এপি)

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধটির একটি আইনগত অবসানের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানিতে রাশিয়া উপস্থিত হয়নি। যুদ্ধটি অনেক বছরের মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি করছে। ইউক্রেন আক্রমণের যুক্তি হিসেবে উপস্থাপিত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের “গণহত্যার” দাবিটি শুনানির বিষয়বস্তু ছিল।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রাশিয়ার পক্ষের জন্য বরাদ্দ খালি আসনগুলোই সব বলে দিচ্ছিল। সেগুলো ইউক্রেনের প্রতিনিধি, অ্যান্টন কোরিনেভিচকে দি হেগ-এর এই আদালতে মস্কোর বিরুদ্ধে তার দেশের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে রসদ যোগান দিয়েছে।

তিনি বলেন, “রাশিয়ার আসনগুলো খালি পড়ে থাকার বাস্তবতাটি সজোরে সব বলছে। তারা এই আইনের আদালতে নেই: তারা যুদ্ধের ময়দানে আমার দেশের বিরুদ্ধে একটি আগ্রাসী যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।”

দেশগুলোর মধ্যে আইনী দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আইসিজে বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত। রাশিয়ার মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা ছিল, কিন্তু সেটি আর হবে না।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন যে, ইউক্রেনের পূর্ব অংশে নিপীড়ন এবং গণহত্যার শিকার মানুষকে রক্ষায় তিনি দেশটি আক্রমণ করেছেন। রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয়ই গণহত্যা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গণহত্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, পুতিনের দাবিটি ভিত্তিহীন। অপরদিকে, রাশিয়ার আইনী দলের ফ্রান্সের এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন এই অভিযোগ করে যে, মস্কো আইনকে “বিদ্রুপাত্মকভাবে” অপব্যবহার করছে।

ইউক্রেন চায় যে আইসিজে তাদের আয়ত্ত্বাধীন তথাকথিত “অস্থায়ী পদক্ষেপগুলো” ব্যবহার করে যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। এমন পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য হল পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকানো।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের অনুরোধে সাড়া দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG