রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ ইউক্রেনের কিছু অংশের বেসামরিক নাগরিকরা মঙ্গলবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্যে বাসে ও পায়ে হেঁটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, লোকেরা যখন পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, তখন তার কয়েক ঘন্টা আগে সেখানে একটি আবাসিক এলাকার রাস্তায় একটি রুশ বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল।
ইউক্রেনের রাজধানী কিইভের কাছে ইরপিন শহর থেকেও লোকজনকে চলে যেতে দেখা গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, চেরনিহিভ, খারকিভ এবং মারিউপোলে লোকজনের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার লক্ষ্যে অতিরিক্ত উচ্ছেদ করিডোর স্থাপন করা হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে চলে আসা রাশিয়ান আক্রমণের সময় যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ান আক্রমণের শিকার হয়েছিল সেখান থেকে লোকেদের বেরিয়ে আসার জন্য একটি পথ তৈরি করার পূর্ববর্তী বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা বিফলে যায়, যার মধ্যে একটি ছিল নতুন করে গোলাগুলির লক্ষ্যবস্তু মারিউপোল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা মঙ্গলবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৪,৩০,০০০ জনসংখ্যার শহর "মারিউপোলে" ৩০০,০০০ মানুষকে জিম্মি করা এবং মানবিক কারণে সেখান থেকে স্থানান্তর রোধ করার অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার জল, ওষুধ এবং খাবার বহনকারী রেড ক্রসের বাসগুলি মারিউপোলের দক্ষিণ অংশকে ঘিরে ফেলে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পরেই বাসগুলো শহরের দিকে আসছিল , তবে কর্মকর্তারা বলেন যে তাদের পালিয়ে যাওয়ার পথে গোলাগুলির খবর পেয়েছেন।
সরবরাহের যানবহর মারিউপোলে পৌঁছেছে কিনা তা পরিষ্কার ছিল না, এবং ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, বেসামরিক ব্যক্তিরা স্থানান্তরের জন্য বাসে উঠতে পারবে বলে মনে হয় না।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা মঙ্গলবার বলেছে যে রুশ বাহিনী খাদ্য, জল, তাপ এবং ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেনের শহরগুলি ছেড়েছে । এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকট জন্ম দিয়েছে। অর্ধেকের বেশি পোল্যান্ডে গেছে।