ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের ফুডস্টক যেটা আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে, ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো মেজর প্রবলেম হবে না। কোনো খাদ্য সংকট, হাহাকার—এ রকম কিছু হবে না।”
বুধবার (৯ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডং ইউয়ের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দিন দিন সকল ধরনের পণ্যের দাম তো বেড়ে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “মানুষের একটু তো কষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে তো আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাব। আমি আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।”
তিনি বলেন, “আমি আবারও বলছি, আপনারা অনেকে আমার সঙ্গে নাও এগ্রি করতে পারেন, আমি গতকাল টেলিফোন করে কক্সবাজারেও কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবত ৪০/৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে। সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের ইনকাম বেড়েছে। এ জন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে আমরা আমাদের গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি।”
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ঢাকায় এফএও–র সম্মেলন চলছে। এ জন্য এফএওর ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীভাবে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।”
তিনি বলেন, “আমরা এখনো ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন টন ভূট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএওর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।”
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আগামী অক্টোবরে তারা বিনিয়োগ সম্মেলন করবে। তারা আশা করছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচটা করতে চাই। এ ক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবণাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য করতে যাচ্ছি। আশা করি এসব ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।”