অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনে আটকে পড়া চীনের নাগরিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন


ছবিতে অভিভাবকরা কিয়েভের সেন্ট্রাল চিলড্রেন'স হাসপাতাল থেকে শিশু এবং কিশোরদের নিয়ে বের হয়ে ট্রেন স্টেশনের দিকে যাচ্ছেন। ৭ মার্চ, ২০২২, ছবি-
ছবিতে অভিভাবকরা কিয়েভের সেন্ট্রাল চিলড্রেন'স হাসপাতাল থেকে শিশু এবং কিশোরদের নিয়ে বের হয়ে ট্রেন স্টেশনের দিকে যাচ্ছেন। ৭ মার্চ, ২০২২, ছবি-

নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেন ছেড়ে মানুষের পালানো অব্যাহত থাকার এই সময়টাতে ইউক্রেনে অবস্থিত চীনের নাগরিকরা যুদ্ধ থেকে পালানোর তাদের অভিজ্ঞতা ভিওএ কে জানিয়েছেন।

ওয়্যাং জিশিয়ান চীনের একজন নাগরিক যিনি ইউক্রেনের ওডেসায় থাকেন। তিনি ভিওএ-কে জানান যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের মাত্র ২০ ঘন্টা আগে দেশটি ছেড়ে পালানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি জানতে পারেন। তিনি বলেন, “আমরা কোন বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমরা ওয়েবসাইটটি দেখেছিলাম। কোন বিজ্ঞপ্তি আছে নাকি তা দেখতে আমরা ওয়েবসাইটটির অ্যাপটি বারবার রিফ্রেশ করেছি”।

ওয়্যাং জানান যে, যখন লড়াই শুরু হয় তখন চীনের দূতাবাস তাকে এবং চীনের অন্যান্য নাগরিকদের “নিজ ব্যবস্থায় পালাতে” বলে এবং এখন চীনের দূতাবাস পালাতে সহায়তার উপায় পাঠালেও সেটির জন্য অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে, কারণ এখন শহর বা দেশটি ছেড়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৬,০০০ জন চীনের নাগরিক বসবাস করতেন।

ইউক্রেনে অবস্থিত চীনের নাগরিকদের জন্য সেখানে কি হচ্ছে সেটির খবরও কোন কোন সময় বিভ্রান্তিকর ছিল, যার ফলে তাদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছিল। ইউক্রেনের গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, “একটি ছাত্রাবাসের ভবনে রাশিয়ার হামলার পর সেখানে চীনের চারজন শিক্ষার্থী নিহত হয়”। তবে, চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, গ্লোবাল টাইমস দাবিটি নাকচ করে সেটিকে “ভুয়া খবর” বলেছে।

ইউক্রেনে উইচ্যাট নামক সামাজিক মাধ্যম অ্যাপটি ব্যবহারকারী চীনের কিছু শিক্ষার্থী খবরটিকে সত্য বলে মনে করেন। সেখানে কোন একজন লিখেন: “আমাকে অবশ্যই চীনে ফেরত যেতে হবে, চারজন নিহত হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG