অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সরাসরি ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো


 ফ্রান্সের প্যারিসে একটি সমাবেশে একজন প্রতিবাদকারী একটি পোস্টারে নেটোকে ইউক্রেনের উপর নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়। ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২,ছবি-এপি
ফ্রান্সের প্যারিসে একটি সমাবেশে একজন প্রতিবাদকারী একটি পোস্টারে নেটোকে ইউক্রেনের উপর নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়। ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২,ছবি-এপি

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বুধবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস’ সফর করছেন। একই সাথে বাইডেন প্রশাসন এবং তাদের নেটো মিত্ররা, নিজেরা সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে ইউক্রেনকে সুরক্ষিত করার সর্বোত্তম পন্থা বিষয়ে বিতর্ক করছে। সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে সেটি একটি ইউরোপব্যাপী বিস্তৃত যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান যে, হ্যারিস পোল্যান্ডে একটি বার্তা নিয়ে যাবেন। সেই বার্তাটি হল যে, যুক্তরাষ্ট্র “দৃঢ় ও অটলভাবে” নেটো মিত্রদের সাথে রয়েছে এবং তারা ইউক্রেনে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

তবে তার সফরটি কাকতালীয়ভাবে এমন এক সময় হচ্ছে যখন পোল্যান্ডের একটি প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। প্রস্তাবটিতে ওয়াশিংটন অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। পোল্যান্ড তাদের সোভিয়েত আমলের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে দান করতে চায়, যাতে জঙ্গীবিমানগুলোকে ইউক্রেনে স্থানান্তর করা হয়। এর বদলে পোল্যান্ড চায় যাতে যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ডের বিমানবাহিনীকে আমেরিকার তৈরি বিমান প্রদান করে।

তবে প্রস্তাবটি প্রকাশ করার পূর্বে পোল্যান্ডের সরকার এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের থেকে কোন ধরণের সম্মতি পায়নি। পেন্টাগন মঙ্গলবার প্রস্তাবটিকে “কার্যকর নয়” বলে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে।

পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা শুধুমাত্র বাইডেন প্রশাসনের একটি পরামর্শ গ্রহণ করছিলেন। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন যে, পোল্যান্ড যদি তাদের মিগ-২৯ বিমানগুলো দান করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ওয়াশিংটন তাদেরকে বিমান প্রদানের কথা বিবেচনা করছে।

তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা বলেন যে, এমন পদক্ষেপের চূড়ান্ত দায়িত্বের জন্য সমগ্র নেটো জোটের সমর্থন প্রয়োজন হবে। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিকল্পনাটি বিষয়ে প্রদত্ত তার মঙ্গলবারের বিবৃতিটিতে বলেন যে, পোল্যান্ডের সরকার “তাদের মিগ-২৯ বিমানগুলো র‌্যামসটাইন বিমানঘাঁটিতে অবিলম্বে এবং বিনা খরচে মোতায়েন করতে প্রস্তুত আছে, যেখানে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের হাতে সোপর্দ করা হবে।

XS
SM
MD
LG