১১ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক মীমাংসায় পৌঁছানোর সাহস দেখাতে হবে বলে শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব মন্তব্য করেছেন।
জাতিসংঘ প্রধান সকল পক্ষকে জাতিসংঘের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় "অর্থপূর্ণভাবে সম্পৃক্ত " হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১১ সালের বসন্তে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর দারাতে একটি স্কুলের দেয়ালে সরকারবিরোধী গ্রাফিতি আঁকা কিশোরদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার সরকার অভিযান শুরু করার পর থেকে শহরগুলো প্রায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হয়েছে এবং অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
এই অভিযান সর্বাত্মক বিদ্রোহ এবং গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নিলে লক্ষ লক্ষ সিরিয়ানের জীবন ধ্বংস হয়। প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশে সংঘাতের কারণে দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আরও ৬৬ লাখ প্রতিবেশী দেশ এবং ইউরোপে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় পালিয়েছে।
২০১৫ সালে আসাদের সরকারের পতন হতে পারে বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে দামেস্ককে মস্কোর সুরক্ষা এবং তারপরে মস্কোর সামরিক সহায়তা যুদ্ধকে ক্রমশঃ চালিয়ে নিয়ে গেছে।
সিরিয়ার স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনেইরো বুধবার বলেছেন, সামরিকভাবে সংঘাত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রচেষ্টার কারণে ব্যাপক ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং "মানবতার বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অপরাধ সংঘটিত” হয়েছে এবং ঘটনাগুলি যুদ্ধাপরাধের দিকে পরিচালিত করেছে।
একসময়ের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ সিরিয়া এখন অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত।দেশটির জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ দারিদ্র্য অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ সালে যুদ্ধের ফলে ৪ লাখ মানুষ মারা গেছে। তখন থেকে জাতিসংঘ মৃতের সংখ্যা যাচাই করার চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিশন বলছে এক লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিখোঁজ বা গুম হয়েছে।