অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অস্ট্রেলিয়ায় ইউক্রেনের অভিবাসীরা স্বদেশের প্রতিরক্ষায় একজোট 


অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ইউক্রেনের জনগণ রুশ অভিযানের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, পহেলা মার্চ, ২০২২/ এএফপি .

অস্ট্রেলিয়ায় ইউক্রেনীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিদিনই প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে এবং তহবিল সংগ্রহ করে রাশিয়ার আক্রমণের শিকার তাদের স্বদেশবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

আক্রমণটি আরম্ভ হওয়ার পর থেকে সিডনিতে অবস্থিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু’জ ইউক্রেনিয়ান ক্যাথলিক চার্চ প্রার্থনা এবং গর্ববোধের একটি বাতিঘর হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রার্থনাকারী বেশিরভাগেরই ইউক্রেনে বন্ধু বা পরিবার-পরিজন রয়েছে।

মেলবোর্নে জন্ম নেওয়া যাজক, রেভারেন্ড সাইমন কুজ বলেন যে, কঠিন মুহুর্তগুলোতেও ক্ষমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেরেসা হুজিজ দ্বিতীয় প্রজন্মের ইউক্রেনিয়ান অস্ট্রেলিয়ান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তার দাদা-দাদী অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ইউক্রেনে অবস্থিত তার আত্মীয়দের সাথে বার্তা বিনিময় করছেন এবং তার সমর্থন জানাচ্ছেন।

তিনি বলেন, “ইউক্রেনিয়ানরা সর্বদাই স্বাধীন ছিল এবং সর্বদাই স্বাধীন থাকবে, কারণ সেটাই আমাদের পরিচয়।”

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সামরিক কর্মকর্তা সহ রাশিয়ার শত শত রাজনীতিবিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইউক্রেনের বাহিনীর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাবদ ৫ কোটি আমেরিকান ডলারও ব্যয় করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইউক্রেনীয় সম্প্রদায়ও সহায়তা পাঠাতে অর্থ সংগ্রহ করেছে।

ইউক্রেন যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল তখন ওলেক্সা মাতিওউক এর পিতামাতা অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। তার দাদা-দাদী এবং আত্মীয়রা এখনও ইউক্রেনে থাকেন। তিনি ইউক্রেনের মানুষের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সহায়তাকে স্বাগত জানান।

মাতিওউক বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার সরকার যে সহায়তা প্রদান করছে সেটা খু্বই ভাল লাগছে – এই বিষয়টা যে তারা সামরিক এবং মানবিক, উভয় ধরণের সহায়তাই প্রদান করছে। প্রাথমিকভাবে, তারা শুধু মানবিক সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করছিল, তবে আমার মনে হয় তারা বুঝতে পারে যে ইউক্রেনের মানুষজন নিজেদের জন্য লড়াই করছে এবং তারা পুতিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভেঙে পড়বে না, এবং এটা দেখতে যে সামরিক সহায়তা সংহতি প্রদর্শন করে”।

XS
SM
MD
LG