অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তুরস্কের সাংবাদিক দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন


তুরস্কের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেদেফ কাবাস ইস্তাম্বুলে তার বিচারের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলছেন। ৬ অক্টোবর, ২০১৫, ছবি-এএফপি
তুরস্কের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেদেফ কাবাস ইস্তাম্বুলে তার বিচারের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলছেন। ৬ অক্টোবর, ২০১৫, ছবি-এএফপি

ইস্তাম্বুলের একটি আদালত শুক্রবার তুরস্কের সাংবাদিক সেদেফ কাবাসকে, প্রেসিডেন্টকে অপমান করার জন্য দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে।

একটি রাজনৈতিক টক শো চলাকালীন প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যপ এরদোয়ান সম্পর্কে মন্তব্য করার অপরাধে কাবাস জানুয়ারির শেষের দিক থেকে বিচার-পূর্ব আটকাবস্থায় থেকেছেন। এখন তার আপিলের ফলাফল সাপেক্ষ তাকে মুক্তি দ্ওেয়ব হয়েছে।

ওয়ান ফ্রি প্রেস কোয়ালিশন দ্বারা প্রকাশিত সবচেয়ে জরুরি গণমাধ্যম স্বাধীনতা মামলার মার্চের তালিকায় এই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক শীর্ষে রয়েছেন।

কয়েক ডজন সংবাদ মাধ্যম এবং অলাভজনক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত জোটটি নারীরা যে ধরণের ঝুঁকির মুখোমুখি হন সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাবাস এবং অন্য নয়জন মহিলা সাংবাদিকের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

এই তালিকাভুক্ত সকলেই তাদের কাজের কারণে আক্রমণ বা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কাবাস এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসার মতো কেউ কেউ আদালতে মামলা লড়ছেন।

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের মতে, ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপী তাদের কাজের জন্য কারাগারে বন্দি ২৯৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৪০ জন নারী। নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ প্রতি বছর সাংবাদিকতার জন্য আটক থাকা ব্যক্তিদের একটি বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করে।

নারী সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল অনলাইন হুমকি এবং অসদাচরণ।

রেসা, যিনি ফিলিপাইনের নিউজ ওয়েবসাইট র‌্যাপলার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার রানা আইয়ুব, যাঁর নামও মার্চের তালিকায় রয়েছে, উভয়ই তাদের সাংবাদিকতার জন্য চরম অনলাইন হয়রানি এবং আপত্তিকর আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন।

XS
SM
MD
LG